পটুয়াখালীর গলাচিপায় পিতার প্রতিনিধিত্ব করছেন তার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী চরবাদুরা গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
ঘটনাসূত্রে ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল রশিদ চৌকিদার ইউনিয়ন পরিষদে থেকে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সবার সেবা করে গেছেন। তিনি মানুষের কাছে একজন প্রিয় মানুষ ছিলেন। মানুষের জন্ম সনদ, মৃত্যুর সনদ, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন কাজে মানুষকে সহায়তা করাই ছিল তার পেশা। মানুষও স্বাচ্ছন্দে তার কাছে গেলে সহজেই কাজ করাতে পারতেন। কোন ভোগান্তি মানুষকে তিনি করতে দিতেন না। সকলকে তিনি আপন করে নিয়েছিলেন। কিন্তু এই মানুষটি এক সময় চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মানুষ তাকে ভুলতে পারছে না। সবার কাজ এখন কে দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দিবে এ নিয়ে তাদের বেশ চিন্তা। তাই বাবার এই জনসেবামূলক কাজকে গর্বের সহিত করার জন্য আব্দুল রশিদ চৌকিদারের ছেলে মো. মিরাজ চৌকিদার মানুষের আস্থা অর্জনে স্বক্ষম হন। তিনিও এখন বাবার মত মানুষের কাছে একজন নিবেদিত প্রাণ। মিরাজ চৌকিদার জানান, গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী চরবাদুরা গ্রামে করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর নিয়েছি।
কে কি অবস্থায় আছে তা জানার চেষ্টা করেছি। সরকারি কোন সহায়তা এলে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আজও বাবার মত আমি মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। বাবার সুনাম আমি অক্ষুন্ন রাখব। তিনি আরও বলেন এলাকার কিছু কূ-চক্রী মানুষ আমার বিরুদ্ধে কিছু অপপ্রচার চালায়। বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার জানান, মিরাজ চৌকিদার আসলেই একজন ভালো মনের মানুষ। গ্রামের মানুষের সহায়তা করার জন্য ও ব্যাকুল থাকে।